Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বিসিকের উদ্ভাবনী উদ্যোগ "ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের GIS ভিত্তিক অনলাইন ডাটাবেজ" এর নাটোর জেলার শিল্পের ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে।
বিস্তারিত

প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়াধীন A2i প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় award প্রাপ্ত বিসিকের "ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের GIS ভিত্তিক অনলাইন ডাটাবেজ" শীর্ষক উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে সর্ব প্রথম শিল্পের অনলাইন ডাটাবেজ তৈরি হবে। এ অনলাইন ডাটাবেজ তৈরি হলে শিল্পখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা,দেশী ও বিদেশী শিল্প গবেষক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান,এনজিও,নীতি নির্ধারক, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়,আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে। কারন দেশে বর্তমানে কমবেশী প্রায় ১ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্প ও ৮ লক্ষ কুটির শিল্প রয়েছে। দেশের প্রায় সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এ সমস্ত শিল্পের পূর্ণাংগ তথ্য এক স্থান হতে সংগ্রহ করার কোন সুবিধা না থাকায় নতুন শিল্প উদ্যোক্তা, গবেষক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দেশের শিল্পায়ন তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হয়ে থাকে। যা প্রকারান্তরে দেশের শিল্পায়নকে বাঁধাগ্রস্থ করে। এ অবস্থা নিরসনে অনলাইন ভিত্তিক ডাটাবেজ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে । তেমনি এ ডাটাবেজটি দেশের সমগ্র অঞ্চলের বিভিন্ন শিল্পের ভৌগলিক অবস্থান নির্দেশক হবে যা দেশের শিল্পাবস্থার বাস্তব চিত্র তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থাপনে যথার্থ ভূমিকা রাখবে।অনুরুপভাবে, একজন উদ্যোক্তা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় নতুন কোন শিল্প স্থাপনের জন্য সে এলাকায় সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংখ্যা, বিনিয়োগের মোট পরিমাণ,সে এলাকায় কাঁচামালের প্রাপ্যতা ও বিপণন সুবিধা প্রভৃতি তথ্য এ ডাটাবেজ এর মাধ্যমে সহজেই সংগ্রহ করে শিল্প স্থাপনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। এ সুবিধা এখন পর্যন্ত গড়ে না উঠার কারণে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য একজন উদ্যোক্তাকে সে এলাকা পরিদর্শন করে বা সেখানে অবস্থান করে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় বলে নতুন উদ্যোক্তারা হতাশ হয়ে পড়েন ফলে নতুন শিল্প উদ্যোগ তেমনভাবে গড়ে উঠতে পারে না। অনুরুপভাবে সরকারের এলাকা ভিত্তিক শিল্পায়ন কার্যক্রম ও বাজেট প্রণয়নে এ ডাটাবেজ এর তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। উপরন্ত এ ডাটাবেজট''র মাধ্যমে এনজিও ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট এলাকার শিল্প সম্ভাবনার একটি সঠিক চিত্র সহজেই সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। তেমনি এলাকা ভিত্তিক গবেষণায় গবেষক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এ অনলাইন ভিত্তিক GIS নির্ভর ডাটাবেজের মাধ্যমে সহজে ও স্বল্প সময়ে সংগ্রহ করতে পারবে। উল্লেখ্য, এ অনলাইন ডাটাবেজ এর মাধ্যমে যে কেহই শিল্প সংক্রান্ত তথ্য যে কোন স্থান থেকে যে কোন সময়ে সহজে ও দ্রুত সংগ্রহ করতে পারবেন। আরও যে সুবিধা এ ডাটাবেজ প্রদান করবে তা হলো দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং এ সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত পণ্য দেশে ও বিদেশে বিনা খরচে পরিচিতি ও প্রচার পাবে। যা এ সমস্ত শিল্পের সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। তাছাড়া, এ ডাটাবেজে যে সমস্ত শিল্প অন্তর্ভূক্ত হবে সে শিল্পগুলো বিসিক প্রদত্ত সুবিধাদি প্রপ্তিতে অগ্রাধিকার সুবিধা পাবে। তা ছাড়াও শিপ্লড্যোক্তারা নিম্নরুপ সুবিধা পাবেনঃ
০১). এ ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত হওয়া শিল্পগূলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিসিক প্রদত্ত সেবা ( শিল্পপ্লট, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানীতে ট্যাক্স হ্রাসের এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ লাভের সুপারিশসহ অন্যান্য সুবিধাদি) প্রদান করা হবে। সে সাথে সরকারীভাবে দেয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে এ ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত হওয়া শিল্পগূলোর জন্য বিসিক সুপারিশ প্রদান করবে।
০২. দেশী ও বিদেশী ক্রেতাদের কাছে ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত হওয়া শিল্পগূলোর বিনামূল্যে পরিচিতি, উৎপাদিত পণ্যের প্রচার এবং উদ্যোক্তা/শিল্প মালিকবৃন্দের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা দেয়া থাকবে। ফলে ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত হওয়া শিল্পগূলোর পণ্য দেশের সর্বত্র এবং বিদেশে বিপণনের বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে যা এতদিন এ শিল্পগুলোর ছিল না।
০৩ .ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত হওয়া শিল্পগূলোকে বিসিকের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সনদের মাধ্যমে এ সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের অস্থিত্বের প্রশ্নটির একটি সমাধান হওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হবে তা এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সহজেই Trade License, VAT এবং TIN Certificate প্রাপ্তি/নবায়ন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ প্রপ্তির সুবিধা প্রভৃতি বিষয় অনেক সহজতর হবে। এ ছাড়াও .ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত হওয়া শিল্পগূলোকে আরও অনেক সুবিধা ভোগ করবে।
গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখ হতে একযোগে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ৬৫০ টি ইউনিয়ন/পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে শিল্পের ডাটা এন্ট্রি শুরু হয়। রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার মোট ৬৩৩৩০ ক্ষুদ্র, মাঝারী ও কুটির শিল্পের তথ্য অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।  রাজশাহী বিভাগের পর পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শিল্পগুলো এ ডাটাবেজে অন্তর্ভূক্ত হবে।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
12/10/2016
আর্কাইভ তারিখ
30/06/2019